আজ নতুন নাটক নিয়ে মঞ্চে আসছে তাড়ুয়া। দলটির নতুন নাটকের নাম ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’। এটি তাড়ুয়ার চতুর্থ প্রযোজনা। এরিখ মারিয়া রেমার্কের উপন্যাস অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন রুনা কাঞ্চন। নির্দেশনায় বাকার বকুল। বুধবার শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। টানা ৩ দিনে নাটকটির ৪টি প্রদর্শনী হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা এবং ২৫ এপ্রিল বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে নাটকটি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নাটকের বিস্তারিত তুলে ধরেন নির্দেশক। নাটকের গল্পটা হয়তো অনেকের জানা, দেশের জন্য শিক্ষার্থীদের জীবন উৎসর্গ করতে উদ্বুদ্ধ করেন শিক্ষক কান্টরেক। জন্মভূমির জন্য জীবন দেওয়ার চেয়ে মহৎ কিছু নেই, এই চেতনায় উজ্জীবিত হয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পল বাউমার ভালোবাসে প্রজাপতি, হতে চায় লেখক। কেমেরিখ হতে চায় ফরেস্ট অফিসার। বেন, মুলার ও আলবার্টেরও রয়েছে নিজেকে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ভবিষ্যৎ স্বপ্ন। প্রতিকূল এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সব স্বপ্ন বিসর্জন দেওয়া পাঁচ বন্ধুর শরীরে ও চিন্তায় ঘোরে যুদ্ধের রোমান্টিসিজম।
প্রশিক্ষণ শেষে কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গান নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হয় সবাই। কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের যুদ্ধ মেলে না। ব্যক্তি এখানে মৃত্যুর জন্য তৈরি হওয়া শুধুই একটুকরা মাংসপিণ্ড। একসময় সৈনিকদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে, যুদ্ধটা আসলে কেন বাধে? কারা বাধিয়ে রাখে? প্রতিপক্ষ দেশের কেউ তো তাদের ক্ষতি করেনি, তাহলে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হওয়া এই যুদ্ধ আসলে কাদের স্বার্থে?
নির্দেশক বাকার বকুলের ভাষ্যে, দুটি বিশ্বযুদ্ধের নির্মম ক্ষতচিহ্ন শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে, তারপরও পৃথিবীকে যুদ্ধাহত করা হচ্ছে বারবার। ভয়াবহ পারমাণবিক মারণাস্ত্রের চর্চা এবং যুদ্ধমুখী বিশ্বরাজনীতির গতিপথ এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে; যা পৃথিবী নিশ্চিহ্নের অশনিসংকেত। এমন বাস্তবতায় ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ প্রাণঘাতী যুদ্ধের নৃসংশতাকে তুলে ধরার এক নাট্যপ্রয়াস।
‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন কুমার উদয়, তামিম আহমেদ, রিপন ঘোষ, জুবায়ের মাহমুদ, জীবন, অর্ণব, তারেক, সানি, সাক্ষ্য প্রমুখ।