জুলাই গণহত্যার মামলায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের শুনানি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সরাসরি সম্প্রচার হবে।
শনিবার ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রোববার শেখ হাসিনার মামলার ফরমাল চার্জ দাখিল হবে ট্রাইব্যুনালে। এদিনের কোর্ট প্রসিডিংস বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এর আগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করার কথা জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে ‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচার কর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তাজুল ইসলাম এ কথা জানান।
সেমিনারে তিনি আরো বলেন, প্রায় ১৪০০ ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছে গত জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে। বিভিন্ন সময় ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশন থেকে দাবি করা হয়, মানবতাবিরোধী এসব অপরাধে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা।
এবার তারই ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করবে বলে জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
মুলতবি ছাড়া বিচার চলবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘অভিযোগ দাখিলের পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী বিচারটা কন্টিনিউয়াসলি (অব্যাহতভাবে) চলবে। কোনো অ্যাডজর্নমেন্ট (মুলতবি) ছাড়া প্রতিদিন চলবে। আমরা সেইভাবে বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি এর (বিচারের) আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন (মান রক্ষা) করা, মানবাধিকার রক্ষা করা, বিচারের নামে অবিচার যাতে না হয়, অতীতে যেগুলো হয়েছে, সেগুলো যাতে না হয়, সে ব্যপারে আমরা খুবই সতর্ক এবং সাবধান আছি।
এদিকে গত ২০ মে ট্রাইব্যুনাল–১ এর বিচারকক্ষে ডিজিটালপ্রযুক্তি স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এর ফলে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে বিচার কার্যক্রম সরাসরি কিংবা ধারণ করে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা যাবে বলে ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
পোস্টে চিফ প্রসিকিউটর লিখেছিলেন, ‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য কোর্টরুম ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ট্রায়ালের যেকোনো পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হতে পারবে।’