logo

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

ডেইলি স্টার ব্যানার
Published: 25 June, 2025
photo
ফাইল ছবি : সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল

 


সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।


ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিএনপির করা শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

কয়েকদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজী হাবিবুল আউয়ালকে খুঁজছিল বলে জানা যায় । তাকে ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানায় ডিবি।  

এর আগে, গত ২২ জুন রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এক দায়িত্বশীল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, হাবিবুল আওয়ালকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হচ্ছে। যদিও ডিবির পক্ষ থেকে ওই রাতেই বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন তাহলে হাবিবুল আওয়াল কোথায়?

পরে সোমবার এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) সাংবাদিকদের বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়ালকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে গ্রেফতারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। 

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাবিবুল আউয়াল লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় অপর সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেফতারের পর আলোচনায় আসে তার নাম। 

নূরুল হুদার কমিশন আলোচনায় ছিল ২০১৮ সালে ‘দিনের ভোট রাতে’ সম্পন্ন করে। আর কাজী আউয়ালের কমিশন বিতর্কিত ছিল ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করে। এছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে আনা হবে কিনা? এমন প্রশ্নে তার বেশ কিছু নেতিবাচক বক্তব্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। 

জানতে চাইলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আইনের আওতায় আনতে জোরালো তত্পরতা চালাচ্ছি। রোববার রাতে তাকে ধরতে দুই দফায় অভিযান চালিয়েছিলাম। প্রথমে খবর পাই তিনি বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসায় আছেন। সেখানে আমাদের টিম যাওয়ার পর জানতে পারে, কিছুক্ষণ আগেই তিনি ওই বাসা ত্যাগ করেছেন। পরে আরেকটি এলাকায় তার অবস্থানের তথ্য পাওয়ার পর সেখানেও অভিযান চালানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি।'

ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘রোববার রাতে বসুন্ধরা এলাকায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মাওলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু হাবিবুল আওয়ালকে ধরতে একই এলাকায় অভিযান চালানো হয়, এ কারণে অনেকেই মনে করেছিল আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। তবে তাকে গ্রেফতারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। যখনই পাওয়া যাবে, তখনই তাকে গ্রেফতার করা হবে।'

২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ‘আমি-ডামি ভোট' উপাধি পায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন তত্কালীন কমিশন। ওই কমিশনের বেশির ভাগ কার্যক্রমই ছিল বিতর্কিত। ভোটের হার নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়ে বলে জানানো হলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার ৪০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। ভোটের হার ঘোষণার সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলে পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশন সদস্যদের আসামি করে রোববার মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের সাবেক চারজন আইজিও। 

রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এই মামলায় সোমবার কে এম নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নূরুল হুদা এবং হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ছাড়াও কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ ও তার নেতৃত্বাধীন কমিশন সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।


রাজপথের রণাঙ্গনে দুর্বার সাহসের প্রতীক- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, বংশাল থানার ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আবদুর রহমান

কঠিন সময়ে, শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তিনি ছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামের সম্মুখ সারির অগ্রসৈনিক। দলীয় আদর্শে অবিচল থেকে তিনি সবসময় জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন একজন পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, বংশাল থানার ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আবদুর রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে আবদুর রহমান নিরলসভাবে কাজ করে যা”েছন। দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সংগঠনের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে।

আন্দোলন-সংগ্রামের উত্তাল সময়ে রাজপথে সাহসের সাথে দাঁড়িয়ে গেছেন মোঃ আবদুর রহমান। ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির এই অকুতোভয় সভাপতি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি শুধু একজন নেতা নন, তিনি একজন প্রেরণা – যিনি রাজপথকে বেছে নিয়েছেন দেশ ও দলের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য। 

দীর্ঘ দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী জাতাকলে পিষ্ট জনতার মুক্তি মিলেছিলো জুলাই গনবিস্ফোরণে। বিপ্লবের সেই পথ ধরে নতুন বাংলাদেশ উপহার পেয়েছে জাতি। নতুন অভিযাত্রায় সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছিলেন গণঅভ্যুত্থানের মূল কারিগর। সফল সে আন্দোলনের পর তিনি তার পূর্ব ঘোষিত সংস্কারের রুপরেখা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে। ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে তিনি জনগণকে জাগিয়ে তুলছেন দেশপ্রেমের ছোঁয়ায়। তার এই কর্মসূচি সারা দেশের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে নিয়ে যা”েছন বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

ঢাকা মহানগরির গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সে দায়িত্ব পালনে অগ্রনীয় ভূমিকায় পালন করছেন রফিকুল ইসলাম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিন, হামিদুর রহমান হামিদ সহ বিএনপি সিনিয়র নেতারা। সব সময় জনগণের পাশে সময় কাটা”েছন সামনে নির্বাচন ঘিরে কর্মব্যস্ততায় দিন কাটা”েছন তারা তরুণ সমাজের আইকন হয়ে উঠা হওয়া ইঞ্জিনিয়ার ইসরাক হোসেন।

বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ নেতা আবদুর রহমান ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির অগ্রসৈনিক

রাজনীতি কি শুধু ক্যানভাসে আঁকা কিছু নীতির খেলা? নাকি রাস্তায় রক্ত ঝরিয়ে, লাঠির আঘাত গুনে, চোখে চোখ রেখে বলা এক দৃঢ় শপথ আমি পিছু হটব না ? বাংলাদেশের রাজপথে, বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে, সেই জবাব একজন মানুষ হয়ে উঠেছেন। নাম মোঃ আবদুর রহমান।

জুলাই মাস, আন্দোলনের আগুনে পুড়ছে শহর। তখন কোথায় ছিলেন এই মানুষটি? ব্যারিকেডের সামনে, পুলিশের ঢাল ঠেলে, কর্মীদের বুক ঢেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আর আজ? আজ তিনি শুধু একজন অ্যাকটিভিস্টই নন তিনি জনতার চোখে অ্যাডভান্স পোস্ট তাঁর পাশে দাঁড়ালেই গর্জে ওঠে সাহস।

আওয়ামী শাসন তাঁকে চুপ করাতে চেয়েছিল। গুম, মিথ্যা মামলা, প্রশাসনিক তাড়া, সব কিছুর মধ্যেই তিনি থেকেছেন রাজপথে। যিনি প্রতিরোধের প্রতীক ছিলেন, আজ তিনি আশ্বাসের মুখ। এই রূপান্তর সহজে আসে না। এর পেছনে থাকে লড়াই, নিঃশ্বাস ফেলার সময় না থাকা, আর মাটির মানুষের অকুণ্ঠ ভালবাসা।

তাঁর এই অভিযাত্রায় একা নন তিনি। রফিকুল ইসলাম মজনু, দলের সেই নীরব সংগঠক, যিনি গোটা মহানগরের মধ্যে অন্যতম নির্ভরতার নাম। তানভীর আহমেদ রবিন, যিনি যুবসমাজের নতুন আইকন উদ্যম, শৃঙ্খলা আর যুক্তিবোধের মিশেলে রচনা করছেন আধুনিক নেতৃত্বের চিত্র। আর হামিদুর রহমান হামিদ, সেই অভিজ্ঞ যোদ্ধা, যিনি মাটির কাছাকাছি থেকেও সংগঠনকে রেখেছেন সোজা, আপসহীন ও গর্বিত।

এই মানুষগুলোর হাত ধরে মাঠে ফিরছে বিএনপি। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি আজ শুধু দলীয় পত্রে নয়, মানুষের বাড়ির চৌকাঠে পৌঁছে দি”েছন এঁরা।

রাজনীতি আবার ফিরে পা”েছ তার হারিয়ে যাওয়া মানবিকতা। মোঃ আবদুর রহমান ও তাঁর সহযোদ্ধারা প্রমাণ করে দি”েছন বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে ভালোবাসা, বুলডোজারের চেয়েও দুর্ভেদ্য হতে পারে আদর্শ। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের গল্প আজ গোটা রাজধানীর আয়নায় পড়ছে এবং সেই আয়নায় স্পষ্ট দেখা যা”েছ এক নাম
মোঃ আবদুর রহমান। একজন নেতা, একজন সৈনিক, একজন আশ্রয়।