logo

গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা

ডেইলি স্টার ব্যানার
Published: 16 November, 2025
photo
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্ট সদস্য অ্যাবিগেল বয়েড।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের অবস্থানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ‘অনেক বাংলাদেশি (আমিও তাদের একজন) অস্ট্রেলিয়ার সেই সংসদ সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে স্পষ্ট ও বিবেকবান অবস্থান প্রকাশ করেছেন। তাদের এই বিবেচনাপ্রসূত বক্তব্য বিশ্বজনীন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি গভীর অঙ্গীকারের প্রতিফলন এবং বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের প্রতি আন্তরিক দায়িত্ববোধের প্রকাশ। ’

তারেক রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশ জুড়ে অনেক নাগরিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং এমন একটি নির্বাচনী পরিবেশের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, যেখানে প্রত্যেকে ভয় বা বাধা ছাড়াই নিজের মতামত জানাতে পারে। এই উদ্বেগ এসেছে সাধারণ মানুষের মাঝ থেকে—যারা কেবল স্থিতিশীলতা, ন্যায়বিচার এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার সুযোগ চান।

তিনি আরও বলেন, এমন সংবেদনশীল মুহূর্তে, সব নির্বাচনী অংশগ্রহণকারীর নিরাপত্তা, মর্যাদা ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার যে আহ্বান অস্ট্রেলীয় এমপিরা জানিয়েছেন, তা দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে গভীরভাবে সংগতিপূর্ণ। তাদের বার্তা সেই সত্যকে স্বীকৃতি দেয়, যা কয়েক মাস ধরে লাখো মানুষ উচ্চারণ করে আসছেন—গণতন্ত্র তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, যখন তা অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ এবং সহিংসতা বা ভয়ভীতি থেকে মুক্ত থাকে।

তারেক রহমান বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এসব উদ্বেগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরছেন। অস্ট্রেলিয়ার সমাজে তাদের অবদান এবং মাতৃভূমির প্রতি তাদের অটুট টান দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে উৎসারিত তাদের এই প্রচেষ্টা নিশ্চিত করছে। এতে বাংলাদেশের মানুষের চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশা বৈশ্বিক পর্যায়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে।

‘অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে দৃঢ় বন্ধন বজায় রেখে চলেছে। বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধিদের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের সমর্থন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—গণতন্ত্রের প্রতি বৈশ্বিক অঙ্গীকার একটি যৌথ দায়িত্ব। দেশগুলো যখন একে অপরের পাশে দাঁড়ায়, তখন আমরা শান্তি, ন্যায় এবং অগ্রগতির পথে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে পারি।’

প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্ট সদস্য অ্যাবিগেল বয়েড বাংলাদেশের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি আইনসভায় জমা দেওয়া এক নোটিশে বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে দেশে সহিংসতা, অনিশ্চয়তা ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

তার মতে, আগের আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গণতান্ত্রিক কাঠামো পরিকল্পিতভাবে দুর্বল করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে এবং ভিন্নমত দমন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারব্যবস্থা ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর প্রভাবের কারণে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটাধিকার পেলেও জটিল প্রক্রিয়া তাদের ভোট দিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।