মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ একদিকে পুনর্গঠন এবং অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে জর্জরিত ছিল। একদলীয় শাসনব্যবস্থা, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার সীমিত হয়ে পড়ে। মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়ে যায়। জনগণ নতুন নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক শক্তির প্রত্যাশায় ছিল। এমন এক ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেন দেশের স্বার্থে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল, যা জাতীয়তাবাদী চেতনার ভিত্তিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে।
জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য ঢাকার রমনা বটমূলের খোলা চত্বরে প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান ঘোষণা করেন একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তির। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় ঢাকার রমনা রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি’র ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। ঘোষণাপত্র পাঠের পাশাপাশি তিনি প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, যা নতুন দলের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও রাজনৈতিক দর্শনকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেন। এই ঘোষণার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।
জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র, জাতীয় ঐক্য ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের যে অঙ্গীকার করেছিলেন, বিএনপি তারই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত দেশকে তখন জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস নেন।
এই দিনটি বাংলাদেশের মানুষদের জন্য গৌরব, আনন্দ, উদ্দীপনা ও প্রেরণার প্রতীক। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিএনপি দেশের ভূখণ্ডের পূর্ণ স্বাধীনতা, শক্তিশালী সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় ও স্থায়ী রূপ দেওয়ার অঙ্গীকারে অবিচল রয়েছে। দলের আদর্শিক ভিত্তি হলো উদারনীতি আর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতিও গড়ে উঠেছে উদারপন্থি রাজনীতির প্রেরণায়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শুধু একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাংখা, স্বাধীনতার চেতনা এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন এবং জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারাকে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে রূপ দেন।
জিয়ার দেশপ্রেম সর্বজনস্বীকৃত। তিনি দেশের পূর্ণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অটল রক্ষক ছিলেন। গণতান্ত্রিক চেতনার ধারক হয়ে তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের স্বপ্নকে সামনে রেখে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের রূপরেখা দেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেননি; তিনি জাতিকে দিয়েছেন নতুন প্রেরণা ও দিকনির্দেশনা। তার হাতে গড়া বিএনপি আজও বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে আছে। বিএনপি কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। তার আদর্শ আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রেরণা জাগায়। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে জনগণকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার বাতিঘর হিসেবে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে বিএনপির জন্ম হয়েছিল সময়ের প্রয়োজনে, জনগণের আকাংক্ষা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে। এর জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি বিএনপি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম প্রধান ধারক ও বাহক। জিয়াউর রহমানের দর্শন ও নীতিকে ধারণ করে বিএনপি আজও কোটি মানুষের স্বপ্ন, প্রেরণা ও জাতীয়তাবাদের নতুন দিগন্তের প্রতীক হয়ে আছে।
বিএনপির দর্শন ও অঙ্গীকার:
জিয়াউর রহমান সর্বজনস্বীকৃত দেশপ্রেমিক নেতা। তিনি বিশ্বাস করতেন- বাংলাদেশের পূর্ণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, একটি আত্মনির্ভরশীল ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করা। তার রাজনৈতিক দর্শনের মূলভিত্তি ছিল উদারনীতি ও উদারপন্থি রাজনীতি। অর্থনৈতিকভাবে তিনি দেশকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিতে কৃষি, শিল্প ও প্রযুক্তি উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপির লক্ষ্য ছিল- সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, গণমানুষের অধিকার রক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন, আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তির প্রসার, বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ। এ কারণে বিএনপি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে দ্রুত একটি শক্তিশালী জাতীয় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। জনগণের অধিকার রক্ষা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, শিক্ষা ও প্রযুক্তির প্রসার, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। এসব নীতির কারণে বিএনপি অল্প সময়েই একটি শক্তিশালী জাতীয় রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়।
বিএনপির ৪৭ বছরের সংগ্রামী পথচলা:
১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনীতি, অর্থনৈতিক মুক্তি ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিএনপি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে এবং দ্রুত দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়।
গত ৪৭ বছরে বিএনপির পথচলা ছিল কখনো অর্জনের, কখনো সংগ্রামের, আবার কখনো কঠিন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে।
প্রতিষ্ঠার পরপরই বিএনপিকে মোকাবিলা করতে হয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও নানা প্রতিকূল পরিবেশ। সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে একাধিকবার গণতন্ত্র হরণ ও ক্ষমতাসীনদের স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপের কারণে বিএনপিকে কঠিন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়েছে।
জেল-জুলুম ও দমন-পীড়ন:
বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি বারবার দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে। নেতা-কর্মীরা অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, মামলা, গুম-খুন এবং কারাভোগের শিকার হয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন কারাগারে থাকতে হয়েছে এবং এখনও নানাভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও নির্বাসিত জীবন যাপন করতে বাধ্য করা হয়েছে।
গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম:
বিএনপি বিশ্বাস করে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তাই ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য দলটি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনে বিএনপির বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমেই স্বৈরাচার পতন ঘটে এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
৪৭ বছরের অভিজ্ঞতা ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ:
১৯৭৮ থেকে ২০২৫- এই ৪৭ বছরে বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অনন্য এক সংগ্রামী অধ্যায় রচনা করেছে। নানা বাধা-বিপত্তি, দমন-পীড়ন ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করেও বিএনপি আজও জনগণের পাশে, গণতন্ত্রের পক্ষে এবং জাতীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারে অটল রয়েছে।
জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর তার আদর্শের ধারক হয়ে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর আপসহীন নেতৃত্বে দলটি বারবার গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শি নেতৃত্বে নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করে আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে চলছে। নতুন ও পুরোনো নেতৃত্বের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলা এবং দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে তারা জাতীয় রাজনীতিতে দলটিকে শক্তিশালী রাখছেন।
বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব ও প্রজন্মের সম্পৃক্তি অত্যন্ত আশাজাগানীয়া। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কারনে বর্তমানে বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছেন তারেক রহমান। যিনি নতুন প্রজন্মকে রাজনীতির মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে দলের আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণে কাজ করছেন। তিনি নতুন ও পুরোনো নেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে দলীয় ঐক্য বজায় রাখার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক মূলনীতি এবং জাতীয়তাবাদের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে প্রবাহিত করছেন।
তারেক রহমান দলকে আগামী প্রজন্মের জন্য আরও জনপ্রিয় ও শক্তিশালী করা, নতুন চিন্তাধারা ও উদ্ভাবনী নেতৃত্বের মাধ্যমে দলীয় নীতি কার্যকর করা, জাতীয়তাবাদ ও গণতান্ত্রিক চেতনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কাজ করছেন। অর্থাৎ, বর্তমান নেতৃত্ব বিএনপিকে একটি সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সক্রিয় নেতৃত্বে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহল তার বিরুদ্ধে নানা প্রকার প্রপাগান্ডা ও মনগড়া কল্পকাহিনী ছড়াতে শুরু করে। এসব অপপ্রচার অনেক সময় বাস্তবতার সীমা অতিক্রম করে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যা কল্পনাকেও হার মানায়।
কিন্তু জনগণের কাছে তারেক রহমানের গ্রহণযোগ্যতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং দলের প্রতি নিবেদন প্রমাণ করে দেয়—এসব বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার সাময়িক; সময়ের পরিক্রমায় সত্য ও বাস্তবতা আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দর্শন ও নীতিকে ধারণ করে বিএনপি আজও কোটি মানুষের আশা, প্রেরণা এবং জাতীয়তাবাদের নতুন দিগন্তের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিএনপি কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়; এটি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং জাতীয় ঐক্যের অটুট প্রতীক। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলটি দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের কাজ করে চলেছে, যেখানে লক্ষ্য একটি সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দর্শন ও নীতিকে ধারণ করে বিএনপি আজও কোটি মানুষের আশা, প্রেরণা এবং জাতীয়তাবাদের নতুন দিগন্তের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের কাজ করে চলেছেন। যেখানে লক্ষ্য একটাই, একটি সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন নেতৃত্ব দিয়ে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছেন। আর তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করে নতুন ও পুরোনো নেতৃত্বের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করছে, যার লক্ষ্য একটি সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি আজও কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার বাতিঘর হয়ে আছেন।
লেখক: রফিক উজ্জামান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট